নিজস্ব প্রতিবেদক
“চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে
কিশোরগঞ্জ নিকলীতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী ১৪৩২/২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত রবিবার ২৫ মে সকাল ১১ টায় নিকলী উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহানা মজুমদার মুক্তি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউ ডি এফ দুর্গা রাণী সাহা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ সজীব ঘোষ,উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাক্তার আবু হানিফ,
বীর মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধকালীন কমেন্ডার ও নিকলী উপজেলা সাবেক কমেন্ডার মোজাম্মেল হক আবির , উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলতাফ হোসেন, নিকলী জি.সি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কারার আব্দুর রশিদ, শহীদ স্মরণিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিউদ্দিন, নিকলী সদর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি হারুন আল কাইয়ুম, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মোঃ রুস্তম আলী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যান,উপজেলা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রধান ,সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।
বক্তব্য বলেন, তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ ও দার্শনিক। সাহিত্যের সব শাখায় তার বিচরণ থাকলেও তিনি মূলত কবি হিসাবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। কাজী নজরুল ইসলামের ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। তিনি গ্রামের স্থানীয় মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করতেন। মক্তবে কুরআন, ইসলাম ধর্ম, দর্শন এবং ইসলামি ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন শুরু করেন। ১৯০৮ সালে বাবার মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র নয় বছর। পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে তার শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হয় এবং মাত্র দশ বছর বয়সে জীবিকা অর্জনের জন্য তাকে কাজে নামতে হয়। নজরুল মক্তব থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সেই মক্তবেই শিক্ষকতা শুরু করেন। আর্থিক সমস্যায় ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তাকে আবার কাজে ফিরে যেতে হয়। প্রথমে তিনি যোগ দেন বাসুদেবের কবিদলে। এর পর একজন খ্রিষ্টান রেলওয়ে গার্ডের খানসামা এবং সবশেষে আসানসোলের চা-রুটির দোকানে রুটি বানানোর কাজ নেন। ১৯১৭ সালের শেষদিকে তিনি সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসাবে যোগ দেন। ১৯২১ সালের ডিসেম্বর মাসে কুমিল্লা থেকে কলকাতা ফেরার পথে নজরুল দুটি বৈপ্লবিক সাহিত্যকর্ম সৃষ্টি করেন। এই দুটি হচ্ছে বিদ্রোহী কবিতা ও ভাঙার গান সংগীত। একই সময় তিনি লিখেছিলেন আরেকটি বিখ্যাত কবিতা কামাল পাশা। ১৯২২ সালে তার বিখ্যাত কবিতা-সংকলন অগ্নিবীণা প্রকাশিত হয়।