নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার গুরই ইউনিয়নের বেয়াতিরচর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কাইয়ূম হোসাইনীর বিরুদ্ধে সরকারি বাজেটের টাকা আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা সহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
বছরের পর বছর তার অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি যা ইচ্ছা তা করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে তার মাদ্রাসার গ্রন্থাগারিক শিক্ষক মাহবুবুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাদ্রাসা সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী মাহবুবুর রহমান হলেন মাদরাসার জমিদাতা মনির উদ্দিনের ছেলে। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন তাকে সকল বৈধ প্রক্রিয়ায় লাইব্রেরিয়ান পদে গত ১৯/১২/১২ তারিখে যোগদান প্রদান করা হয়। যোগদানের পরবর্তীতে এমপিও শীটে ইনডেক্স ভুল আসে। এই ভুল ইনডেক্স নম্বর সংশোধনের জন্য বার বার মাদ্রাসা সুপারের স্মরনাপন্ন হলেও তাকে কোনভাবে সহায়তা করা হয় নাই, বরং কোন নোটিশ বিহীন মাদ্রাসা সুপার, সহকারী সুপার আক্তারুজ্জামান ও বিএসসি গনিত শিক্ষক ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ এর যোগসাজসে তার ইনডেক্স সুকৌশলে বাদ দিয়ে দেয়। এছাড়া মাদরাসার জিনিসপত্র নিজ বাড়িতে রাখা সহ সরকারি বই বিক্রি, সরকারি পিবিজিএসআই এর ৫ লাখ টাকা ও বিভিন্ন খাত থেকে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে।
এ অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল কাইয়ুম হোসাইনীর কাছে জানতে চাইলে তিনি তথ্য দিতে অপরগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আলতাফ হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান আমি মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হলে আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিবো, এখানে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।