নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে একটি পরিবারকে একঘরে করার প্রতিবাদে পদযাত্রা ও স্মারক লিপি প্রদান করেছেন নিকলীর প্রতিবাদী সাধারণ নাগরিক ফোরাম।
আজ সকাল ১১ টায় নিকলী পুরাতন বাজার থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের গিয়ে শেষ হয়।
পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেন নিকলীর প্রতিবাদী সাধারণ নাগরিক ফোরাম এর
কামরুল হাসান, মোঃ খাইরুল ইসলাম, মোঃ আলমগীর হোসেন, প্রিন্স মাহমুদ তুহিন, মোহাম্মদ আরিফ মিয়া, এনামুল হক, শেখ রানা, তাজবীর হোসেন প্রান্ত, আশিক মাহমুদ আষাঢ়, সালাউদ্দিন ফিরোজ ,ফিমেল আহমেদ, উপজেলা সাধারণ জনগণ প্রমুখ।
এ সময়ে জানা যায় ,নিকলীতে একটি পরিবারকে ‘একঘরে’ ঘোষণা করেছেন সমাজপতিরা। শনিবার রাতে সদর ইউনিয়নের কুর্শা গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদ চত্বরে প্রভাবশালী গ্রাম্য এ ঘোষণা দেন। এ অবস্থায় পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। শনিবার রাতে কথিত বিচারের রায় ঘোষণা করেন ওই
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও কটিয়াদী উপজেলার করগাঁওয়ের মেসার্স শাপলা ব্রিক ফিল্ডের মালিক মো. ইদ্রিছ আলী ইদু। এ সময় সালিস বৈঠকে মাতব্বর হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মো. ইদ্রিছ আলীর দুই ভাতিজা নজরুল ও তাজুল, রফিকুল ইসলাম রফিক প্রমুখ।
‘একঘরে’ হওয়া পরিবারটির কর্তা মো. আবু বাক্কার সিদ্দিক অভিযোগ করেন, ঈদ উপলক্ষে ওই মসজিদের মুসল্লিদের ধার্য চাঁদা পরিশোধ না করায় শবেকদরের দিনে জুমার নামাজের পর মসজিদের মাইকে ৯১ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। ওই দিনই তিনি তার নামে ধার্য করা এক হাজার টাকা চাঁদা পরিশোধ করেন। এরপরও তার নামসহ চাঁদা পরিশোধ করেননি এমন ৯১ জনের নাম মাইকে ঘোষণা করা হয়।
একপর্যায়ে তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে মুসল্লিদের উদ্দেশে বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে লজ্জা না দিয়ে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চেয়ে চাঁদার টাকাটা আদায় করা যেত।
এ ঘটনাকেই প্রভাবশালীরা রং মেখে তার ওপর ‘মা-বাপ তুলে’ গালি দেওয়ার অভিযোগ আনেন। এরই জেরে শনিবার রাতে তার পরিবারকে ‘একঘরে’ করা হয়।একঘরে’ করার কারণ সম্পর্কে ইদ্রিছ আলী ইদু বলেন, তিনি কাউকে এক ঘরে করেন নি। আবু বাক্কার সমাজের লোকজনকে গালাগাল করেছেন,এরপর তার সাথে সমাজের লোক কথা বলেন আবার কেউ বলেন না। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা বলে দাবি করেন ইদ্রিছ আলী ওরফে ইদু মিয়া।